Pages

ফান্দে পড়ে বগা কান্দে রে



ফান্দে পড়ে বগা কান্দে রে



ফান্দে পড়ে বগা কান্দে রে

 “ফান্দে পড়ে বগা কান্দে রে” এটি বাংলাদেশের একটি প্রবাদ বাক্য কিন্তু চরম সত্য এবং বাস্তব। মানুষ কখন কিভাবে বুঝে নাবুঝে জেনে নাজেনে নিজের অজান্তে বিপদে পরে যায়বিপদে পড়ার সময় বুঝা যায় না, পরে বুঝা যায়; বিপদ থেকে মুক্ত হতে গেলে বুঝা যায় কত ধানে কত চাল! বিপদ বলে কয়ে আসে না মানুষের জীবনে এটা চিরন্তন সত্য। বিপদে পরে গেলে বা বিপদ চলে আসলে তখন আর কিছু করার থাকে না, বিপদ মোকাবেলা করতে হয় ধর্য্যের সাথে। কিন্তু নিজের বিপদ নিজেই ঢেকে আনে তা হলে অবস্থা কেমন দাঁড়ায়। আল্লাহর দেয়া বিপদ আর নিজের বিপদ নিজেই ঢেকে আনা এক কথা না, দু’টোই বিপদ বা দুঃসময় অর্থের দিক দিয়ে আলাদা না হলেও কষ্টে মধ্যে পার্থক্য আছে। একটা নিজের ভুল আরেকটা সৃষ্টিকর্তার দেয়া বা নিয়তির লিখন যাই বলিনাকেন, দুটোই নিয়তির লিখন
তবু নিজের ভুলের কারণে বিপদকে নিয়তি বলে মেনে নিতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। ছোট একটা উদাহরণ দেয়া যাক, ইউটিউবের যারা ভিডিও দেয় তাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞের ওভাব নাই, ইউটিউবে ভিডিও দিতে হলে নিদির্ষ্ট কোন বিষয়ের উপর ডিগ্রী থাকা দরকার হয় নাপৃথিবীতে যত বিষয় আছে সব বিষয়েই তারা বিশেষজ্ঞযেমন ধরা যাক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন বিষয়ে জানার জন্য সার্চ দিলে অসংখ্য ভিডিও হাজির হয়। বিউটি পার্লারের বিউটিশিয়ান স্বাস্থ্য সর্ম্পকে লম্বা ভাষণ দিচ্ছেকেউ না কেউ বিশ্বাস করছে, বিশ্বাস করে করতে গিয়ে যদি হিতে বিপরীত হয় কিংবা চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হলো তখন কি আল্লাহর উপর রাগ করবে না নিজের ভুলের জন্য নিজের কপাল নিজেই ঠুসাতে থাকবেআরেকটু স্পষ্ট করি ইউটিউবে ভিডিও দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ম্যালওয়্যার এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান না করাতাম আরেকটু ভাল করে  জেনে তারপর ভাইরাস স্ক্যান করতাম তাহলে হয়ত আমার ওয়েবসাইট নিয়ে আমাকে এতটা হয়রানি পোহাতে হত না কিংবা একেবারে চিরতরে হারিয়ে ফেলব না তার কোন নিশ্চয়তা আজ আমার কাছে নেই শুধু এই বিপদই আমার একমাত্র বিপদ না এখন আমার ল্যাপটপই ঝুঁকিপূর্ণএবার ভাবুন একটা নাজানা ভুল আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছেআমি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটটিতে রাত-দিন পরিশ্রম করে কয়েকটি পোস্টও পাবলিস্ট করিএত পরিশ্রমের পেছনে একটাই কারণ ছিল পোস্টের সংখ্যা বেশি এবং পোস্ট শব্দেও বেশি করা (১৫০০ -২০০০+ শব্দ) তাতে যদি ভিজিটর এবং র‍্যাংগস দুটোই একটু ভালোর দিকে যায়। তাহলে হয়ত আমার সামান্য আয় হবে, সবার মত আমারও আশা ছিল তাই নিজের ওপর অত্যাচার অনেক বেশি করেছিলামযে ক’টা দিন আমি সাইট পেয়েছি রাতের পর রাত (সারা রাত) কাজ করেছি; ফল কি হল! সবইতো হারালাম। আমার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটটির বয়স আজ ৩৫ দিন। ১৩ দিন পর দুই দিনের জন্য দেখা পেলাম, আবারও একটা পোস্ট পাবলিস্ট করলামঅনেক বার ভেবেছি এবার পাবলিস্ট করবো না শেষ পর্যন্ত পারিনি নিজের কাছে নিজেই হেরে যাই, খুব প্রিয় তো তাই। পাবলিস্ট করার এক দিন পর আবার হারিয়ে গেল। বার বার হারানোর কারণ হল এন্টিভাইরাস, যাকে দিয়ে একদিন ভাইরাস স্ক্যান করিয়েছিলাম। এখন আমার ল্যাপটপ একটা ভাইরাসের বসতবাড়ী তাই ভাইরাস ইচ্ছামত আমাকে নাচাছে। এই সুযোগ আমিই ভাইরাসকে করে দিয়েছি। ল্যাপটপ/কম্পিউটার/মোবাইলে ভাইরাস যত সহজে ঢুকে পরে বের করা ততটাই কঠিন অনভিজ্ঞদের কাছে। যেমন, আমার কাছে; উদাহরণের জন্য দূরে যেতে হবেনা আমি নিজেই ভুক্তভোগী আর যারা অভিজ্ঞ তারা তো অভিজ্ঞই। হ্যাকার এবং ভাইরাস সর্ম্পকে গুগল থেকে কিছু লেখা পড়ে যতটা জেনেছি ভাইরাস দ্বারা তথ্য  নিয়ে হ্যাকার ওয়েবসাইট হ্যাক করতে সুবিধা হয়। সাইট হ্যাক করে পোস্ট, ভিজিটর, আয় ইত্যাদি হ্যাকার নিজের কাজে লাগায়। অবশ্য এ বিষয়ে বলতে হলে আরো বিস্তারি জেনে শিখে বলতে হবে। তাই আজ আমি ঐ দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু আমি তো কাঁদছি! শুধুই কি আমি? আমার মত অনেকেই কাঁদছে! তাই বলছি ইউটিউবের ভিডিও থেকে সাবধান

খারাপ ভিডিও ভিড়ে ভালটা পাওয়া দুঃসাধ্য




বিউটি পার্লার কিংবা সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সর্ম্পকে ভিডিও ধারণ করে পাবলিকের জন্য, এসব ভিডিও মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া কোন উপকারে আসেনা। শিক্ষা দুর্বলতার কারণে দেশের মানুষ ইউটিউবে ভিডিও দেখে বিশ্বাস করে, মনে করে ইউটিউবে ভিডিওতে দেখেছে, তার মানে এটা সত্যআমি ভিটামিন E সর্ম্পকে বিস্তারিত জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ দিতেই দেখি এমন কতগুলো ভিডিও আসছে যারা ঐসব ভিডিও ধারণ করেছে তারা খুবই সাধারণ মানুষ আর কিছু বিউটি পার্লারভাবেন! বিউটিশিয়ান আমাদের দেশের ডাক্তার, পুষ্টিবিদ। বেশ কয়েকটা ভিডিও দেখি শুধুমাত্র ভিডিও সর্ম্পকে জানার জন্য E সর্ম্পকে না। ভিডিও দেখে মনে হল শুধু শুধু এত কষ্ট করে এত টাকা পয়সা খরচ করে ডাক্তার হওয়ার কি দরকার তার চেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দিলে আরো অনেক লাভ হত বিনা পরিশ্রমে। ইউটিউবে ভিডিও শুধু যে ক্ষতিকারক তা কিন্তু না, ঠিকটা খুঁজে বের করতে পারলে উপকৃত হওয়া যায়E সর্ম্পকে জানার জন্য কিওয়ার্ড বিভিন্নভাবে পরির্বতন করে আমার লক্ষ্যে পৌছিভারতের একজন লেডি ডাক্তার এবং আমেরিকার পুরুষ ডাক্তার, দু’জনেই খুবই চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে ভিডিও দিয়েছেন আমার পরিশ্রম স্বার্থক। যারা ভিডিও দিচ্ছে, তারা ভিডিও বিষয় অনুসারে কতটা বিজ্ঞ সাধারণ মানুষ তা জানেনা। খারাপ ভিডিও ভিড়ে ভালটা পাওয়া দুঃসাধ্য সার্চ দেয়ার সাথে সাথে যে ভিডিওগুলো সামনে আসছে সেগুলো বিশ্বাস করতাম তাহলে হিতে বিপরীত হওইয়ার আশংকাই বেশি ছিলআজ এত ঘাটা-ঘাটি, যাচাই-বাছাই করছি তার একটাই কারণ আমি ঠেকে শিখছি  

শুধু মাত্র লোক ঠকানো ব্যবসা




ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে যে ভিডিও কোন ভিত্তি নাই, শুধুমাত্র লোক ঠকানো ব্যবসাকিছু জানুক আর নাজানুক বিষয়ভিত্তিক পুঁথিগত বিদ্যা থাকুক বা নাথাকুক সহজ পদ্ধতিতে ভিডিও করা যায় বলে যখন যা মনে আসে তাই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেয় ইউটিউবে। আর্কষনীয় হেড লাইন থাকে বলে মানুষ অতি উৎসাহিত হয়ে দেখে মন্দ ভাল যাচাই তো পরে হবে ভিডিও তো একবার দেখা হয়ে গেল।  এটাই তো ব্যবসা, মানুষ দেখবে আর ব্যবসা হবে। আমাদের দেশের মানুষের আয় হবে তাতে সবার খুশি হওয়া উচিত এবং সহযোগিতার হাত বাড়ানো আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। কেননা টাকা আমার আপনার পকেট থেকে যায় না বরং আসে বাইরে থেকে দেশে। সহযোগিতা সবাইকেই করতে হবে, যে ভিডিও তৈরি করবে আর  ভিডিও যে দেখবে। যে ভিডিও দেখে মানুষ সত্যিকারভাবে উপকৃত হয় সেই ভিডিওর প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করা অবশ্যই উচিত SUBSCRIBE করার মাধ্যমে। আর যে ভিডিও দেখে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বেলায় কি হবে? তখন ভুক্তভোগীর অবস্থা ভুক্তভোগীই  ভোগে। ঐ ভিডিও ধারণকারীকে খুজে পাওয়া যায় না বা পাওয়ার চেষ্টাও করে না। পাওয়া গেলেই কি, সে কি ক্ষতি পুষিয়ে দিবে, দিবে না কারণ এর জন্য আইন নেই থাকলেও বাস্তবে দেখা নেই। আইন থাকলে মানুষ কিছুটা হলেও সংযত হয়ে ভিডিও তৈরি করত নামমাত্র জ্ঞান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ব্যবসা করার মানুসিকতা হত না।

ভুলের মাসুল কম দিতে হবে

আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ করে শিক্ষিত নারীরা যারা শুধু ঘরের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে তাদের কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ইন্টারনেটে কাজ করার আগ্রহ খুব একটা দেখা যায় না। বর্তমানে মানুষের সংসার জীবন অনেক ব্যয়বহুল তাই বাস্তব প্রয়োজনে কাজের ফাঁকে আয়ের জন্য অতিরিক্ত কাজ করছে অনেকে আবার কেউ কেউ কাজ করার জন্য কাজ খুঁজছে। যারা ভিডিও দেখে তারা কোন না কোন প্রয়োজনেই দেখে এবং শিখে। এর মধ্যে যারা নতুন কিংবা একেবারে নতুন তারা কখনো একটা দু’টা ভিডিও দেখে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা। ভিডিও ধারণকারি মানুষকে যাচাই করে নিতে হবে, বিষয়বস্তুর সাথে মানুষের মিল আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে এবং ভাল মানের কয়েকটা ভিডিও দেখে ভাল্ভাবে বুঝে তারপর বাস্তবে যা করার করতে হবে। হোকনা দেরি তাতে কি ভুল তো কম হবে, ভুলের মাসুল কম দিতে হবে। আমার মত কাঁদতে হবে না, হয়রানির শিকার হতে হবে না। যারা শুরু করছেন বা করার কথা ভাবছেন তারা কখনো ইউটিউবের ভিডিও দেখে ফ্রি এন্টিভাইরাস বা কাজ করার সময় যখন তখন স্কিনে এসে ঝুকিপূর্ণ বলে ম্যাসেস দিতে থাকে ফ্রি এন্টিভাইরাস, বার বার দিবে, পাগল বানিয়ে ফলবে। স্ক্যান করার অনুমতি চাইবে, কিছুতেই অনুমতি দিবেন না। ভুল করেও কখনো এই ভুলটি করবেন না। আবারও বলছি এন্টিভাইরাসের ব্যাপারে খুব খুব সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে যতটা সম্ভব ভাল্ভাবে জেনে এন্টিভাইরাস কাজে লাগাবেন। ইউটিউবে নিম্নমানের ভিডিও দেখে ভুল করবেন না। একই ভিডিওতে ভিডিওর মূল বিষয়ের ভাল-মন্দ উভয় দিক তুলে ধরা হয় তাহলে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

আমার মত ভুল কেউ করবেন না। আজ আমি সবটা হারাতে বসেছি, আমার শ্রম আমার স্বপ্ন। এন্টিভাইরাস ম্যালওয়্যারের বাসা আমার ল্যাপটপে। এন্টিভাইরাস বা সফটওয়্যার সর্ম্পকে ধারনা না থাকার কারণে ভুগছি, জানিনা কত দিন ভুগতে হবে। কত দিন ফাঁন্দে পরে থাকে হবে, আদৌ কি সম্পূর্ণ ফিরে পাবো আমার পরিশ্রমের ফসল আমার প্রিয় সাইট। যার ক্ষতি হয় শুধু সেই জানে তার অবস্থা। আমার মত ফাঁন্দ কেউ না পড়ুক এই প্রত্যাশা .....।



No comments:

Post a Comment