Pages

ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স

ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স  ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স  ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স

ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স









আদিম মানুষ যখন জীবন যাত্রার সূচনা করেছিল তখন বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের পালা পরে বিজ্ঞানের পথ অনুসরণ করেই মানুষ আজ উন্নতির উচ্চ শিখরে উপনীত হয়েছে। বিজ্ঞানের বৈচিত্র্যময় অবদানের প্রেক্ষিতেই আজকের বিশ্বের মানুষের জীবন হয়েছে সহজ সরল হয়েছে সুখকর।
বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় আজ বিশ্ব জগৎ বিস্ময়কর উন্নত পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে, এই জয়যাত্রা ছড়িয়ে গেছে জীবনের সর্বত্র। আর এই জয়যাত্রাকে ব্যক্তি-স্বার্থে অকল্যাণকর কাজে লাগাচ্ছে কিছু সংখ্যক সুযোগসন্ধানীরা। মানব কল্যাণের লক্ষ্যে বিজ্ঞানের সীমাহীন ও বিস্ময়কর আবিষ্কার মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে এমন উদ্দেশ্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেশায় মেতে ওঠেননি বরং মানুষের দুষ্টু বুদ্ধি কোন কোন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে মানুষের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে।


সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আর রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত দিন মানে কর্মমুখর জীবন বিজ্ঞানের অবদানে সুখকর হয়ে ওঠে। সারা বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে থাকা মানুষ বিজ্ঞানের কল্যাণকর অবদানে নিজের সভ্যতা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়েছে। পথে-ঘাটে, বাড়ি-ঘরে, অফিস-আদালতে, কল-কারখানায় বিজ্ঞানের বিচিত্র অবদান এমনভাবে সম্প্রসারিত হয়ে আছে যে, তা তালিকাবদ্ধ করার চেষ্টা বাহুল্য-মাত্র। বিজ্ঞানের কল্যাণকর আবিষ্কারের বিচিত্র অবদানের একটি অবদান হল “সিম”। সিম আবিষ্কারের ফলে বিশ্ব আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। এই সিম মানুষের জন্য যতটা কল্যাণকর ততটাই অকল্যাণকর, এর ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ ভেদে কল্যাণকে অকল্যাণের পরিণত করছে।


মানুষ বিশ্বের বুকে সিমের অবদানের বদৌলতে সুদৃঢ় ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করেছে বলেই সভ্যতা বিকাশের বিপুল সফলতা লাভ করছে। দীর্ঘপথ পরিক্রমায় মানুষ আজ যে যুগে উপনীত হয়েছে তাকে ডিজিটাল বা মোবাইলের যুগ বলে অভিহিত করা হয়। মানুষ বেড়েছে তার প্রয়োজনও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে মানুষ সিমের বিভিন্ন কল্যাণকর আবিষ্কারকে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগিয়ে জীবনকে সুখকর করে তুলেছে। সিম নানাভাবে প্রয়োগ করে মানুষ তার সভ্যতা সমৃদ্ধ করছে। আজকের সভ্য জগতে প্রতিমুহূর্তে সিমের ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী। এখন সিমের ছাড়া একটি মুহূর্তও চলে না। কারণ দৈনন্দিন জীবনে যা প্রয়োজন তা সিমের অবদান থেকে লাভ করা যায়। সিমের আধিপত্যের প্রেক্ষিতেই বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হয়।


ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স







সিমের আধিপত্যের প্রেক্ষিতেই বর্তমান ডিজিটাল যুগেও মানুষ প্রতিমূহুর্তে আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছে। ডিজিটাল যুগে মানুষের বুদ্ধির যতটুকু বিকাশ ঘটেছে, মানুষের হৃদয়বৃত্তির তত বিকাশ ঘটেনি। ফলে স্বার্থান্ধ মানুষ পরস্পরকে আঘাত করতে কোন দ্বিধা-বোধ করে না। সিমের আবিষ্কার যেখানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ইন্ধন যোগাচ্ছে সেখানে এই সিমের মাধ্যমে মানুষ মানুষের সাথে প্রতারণা খেলায় মেতে রয়েছে। মানুষের মধ্যে অর্থের প্রাধান্য নিয়ে প্রতারণার যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে তাতে সিম ব্যাপকভাবে সহায়তা দান করছে। কেননা, যে ডিনামাইট পাহাড় বিদীর্ণ করে মানুষের কল্যাণের পথ তৈরি করে, সেই ডিনামাইটই জনবহুল নগরীকে ধ্বংস করে। যে বিমান মানুষের দেশ-দেশান্তরে যাতায়াতের সহজ উপায়, সেই বিমানই বোমারু বিমান হিসেবে ভয়ঙ্কর ভূমিকা পালন করে। যে কীটনাশক কৃষি খাতে বিপ্লব আনে তা বিষ হিসেবে মানুষের জন্য কতই না ভয়াবহ। সিম এর ব্যতিক্রম নয় মানুষের জন্য যেমন কল্যাণকর তেমনি অকল্যাণকর। সিমের অপব্যবহারের নিদর্শন থেকে সিমকে অকল্যাণকর মনে করলে অযৌক্তিক বিবেচিত হবে না।


বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার সিম আবিষ্কারের ফলে বিশ্বের জীবন সুখময় হয়ে উঠেছে। জীবনের সব ক্ষেত্রে সিমের অবদানের স্বাক্ষর অনস্বীকার্য। দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজে সিমের সহচর্য যেমন বিদ্যমান, তেমনি সিমের অকল্যাণকর প্রতিরোধ করা একান্ত প্রয়োজন। যেখানে জীবন এখন বিজ্ঞানের দান সিম দ্বারা পরিচালিত ও সমৃদ্ধ সেখানেই সিম দ্বারা প্রতারণায় মানবজীবন আজ অতিষ্ঠ।


বিজ্ঞানের বদৌলতে যুগ এখন আয়নার মতো, সামনে দাঁড়ালে প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে, সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন চলে আসে চোখের সামনে। এই স্পষ্টতার মাঝেও অস্পষ্টতা পাওয়া যায় পৃথিবীর আর কোথাও না হোক আধুনিক যুগের ডিজিটাল বাংলাদেশে। বিজ্ঞানের অভিনব আবিষ্কারের মধ্যেই বিস্ময়কর আবিষ্কার ‘সিম’। সিমের মাধ্যমে আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে আয়নার মত। সিম যাকে আমরা টেলিকম বলি। টেলিকম কোম্পানিগুলোতে চলছে ইন্টারনেট প্যাকেজের নামে প্রতিযোগিতামূলক ধান্দাবাজি। এই টেলিকম কোম্পানিগুলো আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রাহকদের ঠকাচ্ছে ইন্টারনেট প্যাকেজের নাম করে, প্রতারণা করছে ফ্লেক্সিলোড মাধ্যমে।


ফ্লেক্সিলোড সিস্টেমের মাধ্যমে সিমে টাকা লোড করি, টাকাটা আমার খরচ করার ভাবনাটাও আমার মানে গ্রাহকের, আমরা টাকা দেই টেলিকম কোম্পানিগুলোকে সিমের মাধ্যমে ফ্লেক্সিলোড করে। সিমে টাকা লোড করি আর কোম্পানিকে দেই যাই করি না কেন মূল কথা হল টাকা এবং টাকার ব্যবহার। আমরা যে টাকা ফ্লেক্সিলোড করি সেই টাকা আমরা আমাদের (গ্রাহকের) মন মত করে খরচ করবো, মানে আমি আমার টাকা আমার প্রয়োজনে আমার মতো করে খরচ করবো, মোদ্দা-কথা এই। এখন দেখা যাচ্ছে যার টাকা সে তার মত করে খরচ করতে পারে না। এর মূল কারণ হলো সিমের ইন্টারনেট প্যাকেজ।


কথার কথা ৫ টাকা ফ্লেক্সিলোড করলাম সেটা আমার ব্যালেন্সে দেখাবে না কারণ সেই ৫টাকা ইন্টারনেট প্যাকেজ রেট তাই ফ্লেক্সিলোড করা ৫টাকা ইন্টারনেট ব্যালেন্সে চলে যাবে। আমার মোবাইল সেটটি সেই মান্দাতার আমলেরই হোক বা আজকের আধুনিক সেটই হোক ৫ টাকা আর পাব না। যারা আধুনিক মোবাইল সেট ব্যবহার করেন তারা অনিচ্ছা সত্যেও ইচ্ছা করলে কাজে লাগাতে পারবেন আর না হলে গচ্ছা যাবে কিন্তু যারা সেই মান্দাতার আমলের মোবাইল সেটে পরে আছেন তাদের কথা চিন্তা করুন। পরে আছেন এই জন্য বললাম কারণ বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক মানুষ বাদ দিয়ে বাকি সব মানুষ মধ্যবিত্ত এবং নিচের দিকে ক্রমান্বয় বিত্ত। এসব বিত্তগুলোর অভিভাবকদের হাতে এখনও সেই মান্দাতার আমলের মোবাইল সেটই আছে যদিও তাদের সন্তানদের হাতে আধুনিক মোবাইল সেট, সেটাও পরিবেশ ও পরিস্থিতি বাধ্য করেছে।


এমন অনেক ইন্টারনেট প্যাকেজ রেট আছে, বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রেট। কথা হচ্ছে মানুষ সব সময় সিমে টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে গেলে প্যাকেজ রেট মুখস্থ করে যায় না কিংবা হাতে সব সময় প্যাকেজ রেটের বই খাতা হাতে নিয়ে ঘুরে না তাই গচ্চাও দিতে হয় অহরহ। যেমন আমি দিয়েছি প্রায় ৭-৮ বার। গুরুত্বপূর্ণ ফোন করা দরকার কিন্তু আমি ব্যালেন্স শূন্য, দৌড়ে গিয়ে ফ্লেক্সিলোড করে ফোন করতেই অপর দিক থেকে বলছে আউট-গোয়িং কলের জন্য রিসার্চ করুন অথবা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে এত-তে ডায়াল করুন, তখনকার পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু মানসিক অবস্থাটা চিন্তা করুন। বুঝতে পারলাম মুখস্থ বা হাতে বই-খাতা না থাকায় আক্কেল সেলামি দিতে হলো আবারও। এইভাবে প্রথম দুই থেকে তিনবার ধোঁকা খাওয়ার পর এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। নিজের কষ্টের টাকা যখন এভাবে জোচ্চোরদের হাতে চলে যায় তখন নিজের মাথার চুল নিজেই ছিঁড়া ছাড়া কিছু করার থাকে না। এই ধোঁকার শিকার হয় নাই এমন প্রিপেড সিম ব্যবহারকারী বোধয় এখন পাওয়া যাবে না। জরিপ করলে দেখা যাবে কম-বেশি সবাই এই প্রতারণার শিকার হয়েছে।

ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স  ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স

তখনকার পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থা না হয় বাদই দিয়েছিলাম কিন্তু এখন তো আসতে হচ্ছে কারণ যার যায় সেই বুঝে তার জ্বালা। টেলিকম কোম্পানিগুলো শুধু সামনে থেকে কাচাইয়া নিচ্ছে পিছন ফিরে তাকানোর অবকাশ নাই, ভেবে দেখে না কতটা নিচ্ছে কারণ সেই মানসিকতা তাদের নাই। প্রতিদিন কি পরিমাণ ফ্লেক্সিলোড হয় ভাবা যায়। আর এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহক ঠকিয়ে, গ্রাহকদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে টেলিকম কোম্পানিগুলো। এভাবে দিনের পর দিন প্রতারিত হয়েই যাচ্ছে গ্রাহকরা, প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ নাই। যে টাকা দিয়ে ৭-১৫ দিন বা তারও অধিক দিন খুব সহজেই চলা যেত সেখানে আবার অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে সংসারের খরচ থেকে, তখন ভিতরের কষ্ট কতটা ওপরে পৌঁছে যায় টেলিকম কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনকারীগণ উপলব্ধি করতে পারবেন কখনো! কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে মনে করিয়ে দিচ্ছি একটি প্রবাদ তো আছে “টাকার শোক পুত্রশোকের চেয়ে বেশি”। কর্তৃপক্ষগণ আপনারা কখনো অবকাশ পেলে গ্রাহকদের কষ্টের পরিমাণটা পরিমাপ করে দেখবেন।


আমার বা আমাদের (গ্রাহকদের) ইন্টারনেট দরকার হলে নিজের ব্যালেন্স থেকে কিনে নিবো কোম্পানির বিভিন্ন প্যাকেজ থেকে পছন্দ মতো। ফ্লেক্সিলোড করলে ইন্টারনেট প্যাকেজ রেটে পড়ে গেলে আমার টাকা পরের ভোগে চলে গেল এমন জোচ্চুরি পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি? রাস্তা-ঘাটের বা অলি-গলির ছিনতাই কারিরা তো এর চেয়ে ঢের ভাল। তারা অন্তত সামনে থেকে কেড়ে নেয় আর টেলিকম কোম্পানিগুলো তো গ্রাহকদের ধোঁয়ার মধ্যে ফেলে প্রতারণা করে নেয়। যে গ্রাহকরা তাদের ব্যবসার লাভজনক মুনাফা, কোম্পানিগুলো তাদের সাথেই নানান রকম অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেই যাচ্ছে।


অথচ ব্যবসায়ীরা কাস্টমারদের লক্ষ্মী ভাবে কারণ কাস্টমাররা পণ্য কিনলে ব্যবসায়ীদের লাভ হবে সেই লাভ দিয়ে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ হবে তাই কাস্টমার বা গ্রাহকরা ব্যবসায়ীদের কাছে লক্ষ্মী। বাড়িওয়ালাদের কাছে ভাড়াটিয়ারা লক্ষ্মী কেননা ভাড়া দিতে পারলে সংসার চলবে ভাড়াটিয়া শূন্য থাকলে হাত শূন্য থাকবে। তাই বাড়িওলারা যত হম্বিতম্বি করুক না কেন ভিতরে ভিতরে তারা ভাড়াটিয়াদের না হোক ভাড়াটার কথা ভেবে ভাড়াটিয়াদের লক্ষ্মী ভাবে কিন্তু টেলিকম কোম্পানিগুলোর তো কোন কৃতজ্ঞতা-বোধ নেই কাস্টমারদের প্রতি। টেলিকম কোম্পানিগুলো ডিজিটাল যুগেও অন্ধকারের কালো ছায়ার আড়ালে ফেলে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে এবং করেই যাচ্ছে। অবাক বিষয় হল এসব বলার ও দেখার কেউ নেই।


অবশ্য এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ আমরা ঐ নীতিতে প্রতীয়মান “আমার পকেট ভরল তো দেশ গোল্লায় গেল”। পকেটে টাকা আসলো তো তুমি যা খুশি তা করো তোমার জন্য সাত খুন মাপ, আগামী মেয়াদ পর্যন্ত (নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত)। আবার পকেট ভরবে আবার মাপ এইতো চলছে যুগে যুগে, শুধু ভুক্তভোগীরাই ভুগছে আর হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে; এতে ভুক্তভোগীর ভিতরটা কিছুটা ফাঁকা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের কথা বলার জায়গা নেই শোনারও কেউ নেই কেননা বলার সব জায়গায় আগে থেকেই লিজ দেওয়া থাকে।


সম্ভবত পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ নানাভাবে কত অসহায়, এর মধ্যে একটি অসহায় হল টেলিকম কোম্পানির ডাকাতি। এখানে টেলিকম কোম্পানিগুলো মানুষের রক্ত পানি করা পরিশ্রমের টাকা সবচেয়ে বেশি ডাকাতি করে ইন্টারনেট প্যাকেজ সেবা দেওয়ার নাম করে। ইন্টারনেট প্যাকেজ সেবা ফাঁদে পড়ে গ্রাহক তার নিজের টাকাও ব্যবহার করতে পারে না, সিমে ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স শূন্যই থাকে, টাকা উধাও হয়ে যায়। হায়রে, ইন্টারনেট প্যাকেজ! প্রতারণামূলক ইন্টারনেট প্যাকেজ রি-চার্জের অঙ্কের রেট যেমন: ১১, ২১, ১৯, ৩৯, ৪৯, ....... ইত্যাদি। এসব রেটে ফ্লেক্সিলোড করলে ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যালেন্স চলে যাবে গ্রাহকের ইন্টারনেট প্রয়োজন থাক বা না থাক। এভাবেই গ্রাহকরা খেয়াল না করে ফ্লেক্সিলোড করে কোম্পানির প্রতারণার শিকার হচ্ছেন আর গ্রাহকরা একটু একটু করে নিঃস্ব হচ্ছে অনেকটা “পয়জনে হত্যা করার মত”।

ফ্লেক্সিলোড করার পরও শূন্য ব্যালেন্স







আমরা মনে করি ১১, --, --, ৪৯ ইত্যাদি টাকা গেছে যাক, এত টাকাই তো! ভেবে দেখার বিষয় হল প্রতিদিন যদি সর্বনিম্ন এক লাখ মানুষ ফ্লেক্সিলোড করে ইন্টারনেট প্যাকেজের আওতায় পড়ে তাহলে কোম্পানিগুলো কি পরিমাণ অর্থ গ্রাহক ঠকিয়ে হাতিয়ে নেয়। আবার একজন গ্রাহক যদি মাঝেমধ্যেই এমন গচ্ছা দেয় তাহলে গচ্ছা দিতে দিতে একপর্যায়ে ঐ গ্রাহকের আর্থিক গচ্ছার পরিমাণ হিসেব করলে অবাক হয়ে গ্রাহকেরও মাথায় বারি পড়বে। সব গ্রাহকদের একই অবস্থা হবে, আমরা কখনও সূক্ষ্ম হিসেবটাই করি না; শুধু বলি গেছে যাক।


আমাদের এই যাক আবেকটাই কোম্পানিগুলো কাজে লাগাচ্ছে। তারা জানে বাংলাদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষ খুব একটা ঝামেলা পছন্দ করে না কিংবা ঝামেলায় ঝরাতে চায়না বা ঝরায়-ই না। আর এই দুর্বলতাগুলোকে সুযোগ ভেবে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে কোম্পানিগুলো। শুধু যে টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে তা তো না উধাও হচ্ছে গ্রাহকের প্যাকেজ রেটে কিনা এমবি, জিবি ইন্টারনেট। কোম্পানিগুলো কত রকম ভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তারা অযাচিতভাবে গ্রাহকদের ওয়েলকাম টিউন, গান বা অন্যান্য ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস গছিয়ে দিচ্ছে। শুধু ফ্লেক্সিলোড টাকা উধাও, ব্যালেন্স কেটে নেয়া নয় এ ছাড়াও নানা রকম লোভনীয় অফারের নামে কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকরা বার বার নিজের পকেটের টাকা গচ্ছা দিচ্ছে তবুও কেন জানি হুস হচ্ছে না।


যারা সিম আবিষ্কার করেছেন তারা যদি জানতেম সিম মানুষের জন্য কল্যাণ অকল্যাণ প্রায় সমপর্যায় দাঁড়াবে তাহলে জানিনা তাঁরা কি করতেন!


No comments:

Post a Comment