Pages

লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানও আমাদের ভালোবাসার ফসল

লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানও আমাদের ভালোবাসার ফসল



লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানও আমাদের ভালোবাসার ফসল
একসময় আমরাও আমাদের এই সন্তানের ওপর অতিষ্ঠ হব, বিরক্ত বোধ করব, ভুল বুঝবো। ভুলে যাব এই লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানটি আমাদের ভালোবাসা উপভোগ করা ফসল। এই সন্তানটিকে আমরা পৃথিবীতে এনেছি অন্য সন্তানের মত। তবুও আমাদের এই সন্তানটি প্রতি আমাদের অন্তরের স্বীকৃতি আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যাবে, এমনভাবে অস্পষ্ট হয়ে যাবে যা কখনো দেখা যাবে না, বা দেখতেও চাইবো না। আজ যে কষ্ট আমরা আমাদের সন্তানের জন্য অনুভব করছি খুব বেশি দিন এই অনুভূতি তাজা থাকবে না সামাজিক পারিপার্শ্বিক তুখোড় সমালোচনায় পরে। আমরাও আমাদের সন্তানের কষ্টের কারণ হয়ে উঠবো। ধীরে ধীরে সমাজের সাথে আমরাও মিলিয়ে যাব, ছিটকে পড়বে শুধু যাকে আমরা এই পৃথিবীতে আনলাম। পারিবারিক সামাজিক ধিক্কারে ক্ষয়ে যাওয়া সন্তানটি তার পরিবার সমাজ সবাইকে মুক্তি দিয়ে নিজের ভিতর দাউ দাউ করে জ্বলে থাকা আগুনে পুড়তে থাকবে। আমার সন্তান মানুষ হলেও স্বীকৃতি পাবে না মানুষের কাছে শুধুমাত্র লিঙ্গ ত্রুটির কারণে।
এ-যে কত বড় কষ্ট কেউ বুঝবে না, তারা ছাড়া যারা আমার মত লিঙ্গ ত্রুটি সন্তান পৃথিবীতে এনে বুক থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়েছে নিকৃষ্ট অন্ধকার জগৎ ডুবাতে।
লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানও আমাদের ভালোবাসার ফসল



যাকে পৃথিবীতে আনলাম তার তো কোন দোষ নেই, তবুও তাকেই কষ্ট করতে হয়, লাঞ্ছিত হতে হয়, অপমানিত হতে হয়, এক মুঠো ভাতের জন্য পরের দুয়ারে ঘুরতে হয়, জীবনের তাগিদে অন্ধ গলিতে পা বাড়াতে হয় শুধুমাত্র আমাদের মত বাবা মারা জন্য। যেসব বাবা-মা'রা সন্তান পৃথিবীতে এনে সন্তানকে বুকে না রেখে ছুঁড়ে ফেলে দেয় লোকলজ্জা ভয়। বঞ্চিত করে বাবা-মার কাছে সন্তানের চাওয়া-পাওয়া সমস্ত অধিকার থেকে।

সন্তান জন্মের কয়েক বছর পর যখন জানতে পারি আমাদের সন্তান স্বাভাবিক নয়, আমাদের সন্তান লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী। আমাদের এ সন্তান কোন দিন স্বীকৃতি পাবে না মানুষ হিসাবে। আমাদের রাখা নামে কোন দিন কেউ ডাকবে না। পরিবার সমাজ সবাই এ সন্তানকে নিন্দে করবে, বাঁকা চোখে তাকাবে, আঘাতের পর আঘাত করবে। নীরবে ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যাওয়া ছাড়া কোন দিন আমাদের সন্তান ভিতরটা প্রকাশ করতে পারবে না। আমাদের সন্তান মানুষ নয় “হিজরা”। হিজড়া নামে খ্যাতি লাভ করবে সংসার সমাজ পৃথিবীতে। আমাদের রাখা নামটা ঢাকা পড়বে তার হিজরা নাম আড়ালে। ধীরে ধীরে গোষ্ঠী নামে ডাকা হবে “হিজরা”।

শৈশবের তারা অবুঝ চোখে নারী পুরুষ আলাদা করে বুঝতে পারলেও বুঝতে পারেনা প্রকৃতির নিষ্ঠুর খামখেয়ালীপনা। বুঝতে পারেনা সব মানুষের চোখের পানি নোনতা আর রক্তের রঙ লাল হলেও হাতে গোনা কিছু মানুষ “মানুষ” হিসেবে স্বীকৃতি পায় না সমাজে। তাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রবাহিত করার ক্ষমতা নেই বলে। তারা যতদিন বেঁচে থাকে সংসার সমাজ আপন করে কোনদিন তাদের টেনে নেয় না দূরে ফেলে দেয় কষ্টের নোনা জলের অথৈ সমুদ্র। তারা ঐ সমুদ্রে ভাসতে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত ।

নাচ-গান আর হাসি ঠাট্টার মধ্যে আনন্দে মেতে থাকে বলে এদের হাজারো বঞ্চনা, ওদের চোখের পানি সমাজ সংসারের কারো চোখে পড়ে না। সাধারণত একটি শিশুর লিঙ্গ ত্রুটি তার জন্মের পর পরই ধরা যায় না, বড় হওয়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ক্রমশ ধরা পড়তে থাকে বিলম্বিত অপ্রত্যাশিত ত্রুটি। পরিবারের মানুষ জানতে শুরু করে তাদের এই সন্তান অন্য সব সন্তানের মত সুস্থ স্বাভাবিক নয়, ছড়িয়ে পড়ে এই মানুষটির চারপাশের পরিবেশে। চেনা মানুষগুলো যখন অচেনা হয়ে যায় সমাজের মানুষের ব্যবহারে, একদিন যে প্রতিবেশীদের আদর স্নেহ ভালোবাসায় বড় হয়ে উঠছিল আজ তাদের ব্যবহার অপরিচিত। এরপর এই অস্বাভাবিক মানুষটি আর তথাকথিত স্বাভাবিক মানুষগুলোর সাথে বেশি দিন থাকতে পারে না, সমাজ ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গি এদের জায়গা দেয় না ভদ্রবেশী মানুষের সমাজে। চারপাশের চেনা পরিবেশটা প্রতিকূল পরিবেশে পরিণত হলে একসময় বেরিয়ে পড়ে অজানার উদ্দেশ্যে অচেনা পথে হতাশাগ্রস্ত হয়ে। তখন জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার তাগিদে অনেক সময় তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

সব ধরণের প্রতিবন্ধী কিংবা অসুস্থ মানুষ সমাজে বসবাস করার অধিকার থাকলেও একমাত্র অস্বাভাবিক লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী (হিজরা) মানুষ নিজের সংসারে নিজের সমাজে থাকার জায়গা হয় না। সমাজ সংসার কিংবা আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে মুছে যায় এতদিনের ভালোবাসা স্নেহের ডাকা নাম, শুরু হয় নতুন নামে ডাকা “হিজরা”। কাছের মানুষের বদলে ফেলা আচরণ আর চারপাশের অবহেলা বঞ্চনা তিরস্কারসহ নতুন নতুন দুঃসহ যন্ত্রণার বোঝার চাপ বাড়তে বাড়তে ক্রমেই শিথিল হয়ে পড়ে রক্তের বন্ধন। একসময় এই বৈষম্য আর বঞ্চনায় অতিষ্ঠ হয়ে এরা রক্তের বন্ধন ছেড়ে চলে যায় অচেনা রক্তের বন্ধনে। আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যায় হিজড়া নামক সমাজে, তখন একমাত্র পরিচয় হল হিজরা।

একজন মানুষ লিঙ্গ ত্রুটির কারণে পরিবার সমাজ বন্ধুবান্ধব সবার কাছে অবহেলা আর অবজ্ঞার স্বীকার। সবার কাছে থেকে অবজ্ঞার স্বীকার কিংবা বিতাড়িত হয়ে নিজের দুঃখ-কষ্ট বলার কোন জায়গায়ও থাকে না তখন কতটা বাধ্য হয়ে খুঁজে নেয় এক অস্বাভাবিক সামাজিক জীবন, হিজরা জীবন। এদের পরিবার সন্তান হিসাবে, সমাজ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি কেড়ে নেয় তাদের সাথে থাকার অধিকার টুকুও। সবার উপরে এরাও আমাদের মত রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। বিধাতা মনটাই শুধু একটু ভিন্ন করে দিয়েছেন। বাকি আনন্দ বেদনা হাসি কান্না আবেগ অনুভূতি সব আমাদেরই মত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, শিশুর অবস্থা ধরা পড়লে এদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা সম্ভব হতো অনেককেই।

আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত তাঁদের শারীরিক গঠন নয় বলে সমাজ থেকে পাওয়া চূড়ান্ত উপেক্ষা আর আঘাত-যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠে তারা শুধু নীরবে সয়েই যাচ্ছে যুগের যুগের। শুধুমাত্র এক ধরনের শারীরিক লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধীর কারণ। সমাজের ভদ্রবেশী স্বাভাবিক মানুষ এদের দেখে ভিন্ন দৃষ্টিতে। ঘৃণা বঞ্চনা আর কটূক্তি উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে তাদের উপার্জন করতে হয় ভিন্ন পথে। যেহেতু তাদের মানুষ হিসেবে সামাজিক কোন স্বীকৃতি নেই তাই তাদের কাজেরও কোন ব্যবস্থা নেই না সামাজিক ভাবে, না রাষ্ট্রীয়ভাবে।
সমাজে হিজরা নামে পরিচিত এই মানুষগুলো যখন বুঝতে পারে তাদের বাবা- মা সন্তানের আর ভাই-বোন ভাই কিংবা বোনের পরিচয় দিতে নিজ পরিবারের সদস্যরা বিব্রত বোধ করছে। তখন বাধ্য হয়েই পরিবারের বাইরে সমাজের অন্য হিজরাদের সঙ্গে বড় হতে হয় তাদের, থাকতে হয় মৃত্যু পর্যন্ত। মুছে যায় পুরনো সব পরিচয়।

জন্মের পর পর যে ত্রুটি চোখে পড়ে কারো না, ধীরে ধীরে বড় হতে হতে ক্রমশই স্পষ্ট হতে থাকা সেই অভিশপ্ত ত্রুটিই একদিন জন্ম দেয় এক নির্মম ট্রাজেডি। সমাজ সংসার আত্মীয় পরিজন পরিবার সবার চোখের সামনে মুছে যেতে থাকে একটি পরিচয়। আপনজনদের পাল্টে যাওয়া আচরণ, অবহেলা, অবজ্ঞাসহ আর নতুন পরিচয়ের দুঃসহ যন্ত্রণা বোঝা বইতে বইতে একসময় ছিঁড়ে যায় পরিচিত পুরনো সব শক্ত বন্ধন, রক্তের বন্ধন মিথ্যে হতে থাকে আর ক্রমেই মরিয়া হয়ে একদিন সত্যি সত্যি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবার থেকে। অভিশপ্ত নিয়তি এদের ফেরার পথটাও বন্ধ করে দেয় চিরতরে। তখন ঘরে বাইরে সব জায়গায় তার একটাই পরিচয় “হিজরা”!

শুধুমাত্র একটি লিঙ্গ ত্রুটির কারণে একটি মানুষ তার পরিবার থেকে বঞ্চিত, সমাজ থেকে বঞ্চিত, পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত এমনকি নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এককথায় বৈষম্য মণ্ডিত বঞ্চিত জীবন এদের। এদের জীবন কাহিনীগুলো এমনও হয়, জন্মদাত্রী মমতাময়ী মা পর্যন্ত সমাজ সংস্কারের ভয়ে লজ্জায় তার লিঙ্গ ত্রুটি সন্তানটিকে নিজের এক সময় মাতৃত্বের মমতার ভাণ্ডার থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে জন্ম নেয়া হিজরা সন্তানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সমাজ ও পরিবার-পরিজন থেকে। অনেকেই সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও জীবিকার তাগিদে অন্ধকার পথে জীবন পরিচালিত করে শুধুমাত্র লিঙ্গ ত্রুটির কারণে।
লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী সন্তানও আমাদের ভালোবাসার ফসল



একসময় অভ্যস্ত হয়ে যায় তৈরি করা নিজস্ব জগতে, নিজেদের মতো করেই চলতে থাকে হিজরা পল্লীতে। যারা জন্ম দিয়েছে আর যিনি প্রায় দশ মাস গর্ভে ধারণ পৃথিবীতে এনেছেন তারা সবাই ভুলে গেলেও পরিবার থেকে বিতাড়িতরা সংঘবদ্ধভাবে বেঁচে থাকে তারা এক দুর্ভাগা আরেক দুর্ভাগাকে কখনো ভুলে না। এরা উৎফুল্ল হয় নতুনদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়, নিয়ে যায় তাদের নিজেদের আস্তানায়। যেখানে তারা (হিজরা) সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। যেখানে তাদের নিজস্ব সমাজ, নিজস্ব নিয়ম শাসন সবই ভিন্ন প্রকৃতির।

তাদের স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয় না। ত্রুটি ধরার পর থেকে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় এবং তা ভোগ করতে হয় মৃত্যু পর্যন্ত। তারা সর্বদা যথাযথভাবে অবহেলিত অসম্মানিত এবং তাদের পরিধি সীমাবদ্ধ। দুর্ভাগ্যবশত এই আধুনিক সভ্য সমাজেও তারা এক মুঠো খাবার আর এক টুকরো কাপড়ের জন্য পরের কাছে হাত পেতে দোকানে দোকানে ঘুরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জন্মের পরে মানুষটির দেহ দেখতে হবে নারীর মত কিন্তু তার জননাঙ্গ হবে পুরুষের মত যা প্রায় ১০-১২ বছর পরে অদ্ভুত ভাবে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে হতে স্ত্রী অঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে মানুষটি নারীতে পরিণত হয়ে যাবে অথবা জন্মের সময় পুরুষের মত গঠন হয়ে জননাঙ্গ হবে নারীর মত যা পরে পুরুষের মত হয়ে যাবে অথবা এদের কোনটাই না হয়ে অদ্ভুত এক প্রকারের জননাঙ্গ নিয়ে জন্ম হয় যা পুরুষাঙ্গও না আবার স্ত্রীঅঙ্গও না। এই জননাঙ্গ পরিবর্তন হয়ত পুরোপুরি পুরুষের মত বা পুরোপুরি নারীর মত হয়ে যাবে। তবে নারী বা পুরুষ যাই হোক না কেন এদের প্রজনন ক্ষমতা থাকবে না ।

হিজরা শব্দটি উর্দু হলেও উৎপত্তিগত ভাবে সেমেটিক এরাবীয়। “হিজর” বা যাকে হিজরত বলা হয় তা থেকেই হিজরা শব্দের উৎপত্তি। এই হিজর এর অর্থ নিজ গোত্র ত্যাগকারী। পরিবার এদের তাড়িয়ে দেয় বলে এদের হিজরা বলা হয়। ইংরেজিতে Eunuch বা Hermaphrodite বলে একে। এদের ভারতের বিভিন্ন স্থানে আরাভানি, আরুভানি, জাগাপ্পা ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। তামিল ভাষায় থিরুনাংগি বা চাহাক্কা বলা হয়।

সবার উচিত কৌতূহলের মধ্যে অতিরিক্ত কৌতূহল যোগ করার আগে অন্তত একটি বার ভেবে দেখা, এই লিঙ্গ ত্রুটি প্রতিবন্ধী (না-পুরুষ না-নারী) সত্তাটি একদিন আমার আপনার মতোই সবক’টি নির্দোষ দৈহিক উপাদান নিয়েই কোন না কোন পরিবারে জন্মেছে। তাদেরও কোন কমতি ছিল না মানবিক বোধের। কিন্তু প্রকৃতি করেছে তাদের ভয়াবহ বঞ্চনা, যা আমার আপনার যে কারোই হতে পারতো! অসহায় মাতা পিতা পরিবার থেকে ত্যাগ করেছে তাদের, প্রতারণা করেছে অবিবেচক সমাজ। নিয়তি করেছে অভিশপ্ত, আর রাষ্ট্র তাদের দেয়নি বেঁচে থাকার স্বাভাবিক জীবনের অধিকার। কোন অপরাধ না করেও ভাগ্য-বিড়ম্বিত মানুষগুলো যুগে যুগে বঞ্চিত হচ্ছে, হচ্ছে লাঞ্ছিত। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তারা কি একটু সন্তান হিসেবে মানুষ হিসেবে একটু অধিকার পেতে পারে না!


আমার পরবর্তী লেখা, প্রকৃতি মানুষকে কিভাবে ভুলিয়ে দেয়, দেয় সান্ত্বনা

তার পরবর্তী লেখা, তাঁরা শোনে শুধুই তাদের কথা-



No comments:

Post a Comment