পুষ্পিত অগ্নির মতো
১
মনে হয় একটি অচিন্ত্যনীয় প্রভাতকে দেখলাম
বিশ্ব ভুবন জুড়ে।
আমার হৃদয় যখনি প্রসারিত করি
কোন দোয়েলের দিকে পতঙ্গের দিকে
মনে হয় তোমার মুখ পুষ্পিত অগ্নির মতো
আমাকে নিয়ে যায় সেই দিকে।
২
গাছ আর পশু পাখী
হে সন্ত্রাসী ভাই ও বন্ধুরা
কত দেশ ঘুড়ে এলাম অবশেষে
রক্ত দিয়ে মোরা মুছে দিলাম পূর্বপাকিস্তান নাম
মানুষ হতে চেয়েছিলাম
২
আমরা সবাই জানি
গাছ আর পশু পাখী
পাহাড় পর্বত সাগর নদী
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে
আমরা সবাই জানি
গাছ কাটি গাছ লাগাই না
পশু পাখী মারি সংরক্ষণ করি না
পাহাড় কেটে সমভূমি করি
পাহাড়ই সমভূমির রক্ষাকারি
আমরা কি তা মানি?
আজ ভাসি সুখ স্বর্গে
আগামী দিন কি হবে
আমরা সবাই তা জানি
তবুও কি মানি?
নদীর বুকে বালুর চর
বর্ষায় খড়া শরতে ঝড়
প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার এই ফল।
এখনই তো সময়
আসুন –
করি রক্ষনাবেক্ষণ
আমরা যা জানি
তা যেন মানি।
পাহাড় পর্বত সাগর নদী
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে
আমরা সবাই জানি
দুষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার
এসবের প্রয়োজন কত খানি
তবুও কি মানি?
আসুন-
মেনে চলি আর
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করি।
৩
দিক ভ্রান্ত
সন্ত্রাসের খাতা থেকে নাম কেঁটে এসো –
দেশ গড়ার শপথ নেই আমরা
বসদের পদতলে কেন
ঝিম্মি হয়ে থাকবে তোমরা-
ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে পরের
কাছে গচ্ছিত রেখে কেন
বিবেককে ধবংস করবে তোমরা-
হে সন্ত্রাসী ভাই ও বন্ধুরা
দিক ভ্রান্ত, লক্ষ্যচ্যুত করে হাত করে
বিভ্রান্তির পংকিল ঘূর্ণাবর্তে তোমাদের
জড়ায় যারা
তাদের মূল ছিন্ন হবে না
যত দিন থাকবে তোমাদের মত পাতিনেতা
হে সন্ত্রাসী ভাই ও বন্ধুরা-
যাদের হুকুম পালন করতে গিয়ে
আজ তোমরা হয়েছ সন্ত্রাস
সেই হুকুমের হলে মারপ্যাচ
তাদের হাতেই তোমাদের
প্রাণ হয় বিন্যাস-
হে সন্ত্রাসী ভাই ও বন্ধুরা
জীবন থেকে কেন পালিয়ে বেড়াও তোমরা
মানস লোকে ধ্রুবতারার মত জ্যোতিময়
দ্যূতি নিয়ে চিরভাস্বর হয়ে
বাঁচতে কি চাওনা এই সমাজে তোমরা
হে সন্ত্রাসী ভাই ও বন্ধুরা
সন্ত্রাসের খাতা থেকে নাম কেঁটে এসো –
দেশ গড়ার শপথ নেই আমরা
আমরা-আমরা-আমরা ।।
৪
বাংলার মাটি
আমার মায়ের আঁচল তলে
সে যে আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশে
বাংলা মায়ের আঁচল তলে
যে ভালবাসা লুকিয়ে থাকে
পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাবে না
বাংলা মায়ের মত এমন স্নেহময়ী মা।
কত দেশ ঘুড়ে এলাম অবশেষে
আমার মায়ের আঁচল তলে
বাংলাদেশের মাটি দিয়ে বিধাতা
হয়তো তৈরী করেছেন আমাকে
তাই তো কোথায় থাকতে পারলাম না
বাংলার মাটি ছেড়ে
জন্মভূমি মাতৃভূমি ওযে আমার স্নেহময়ী জননী
কত দেশ ঘুড়ে এলাম অবশেষে
আমার মায়ের আঁচল তলে
সে যে আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশে।
৫
বাংলার রক্ত
বাংলাদেশ রেখে নিলাম মোদের মাতৃভূমির নাম
পূর্বপাকিস্তানের ওপর ছিল যত
অত্যাচার আর অসম্মান
রক্তের বন্যায় মোরা সব ভাসিয়ে দিয়ে
আনলাম স্বাধীন বাংলার সম্মান
রক্ত দিয়ে মোরা মুছে দিলাম পূর্বপাকিস্তান নাম।
বাংলা মায়ের সবুজ আঁচলে
রক্তের টিপ পরিয়ে
মোরা বাংলাদেশের প্রতীক বানালাম
সেই প্রতীক আকাশে উড়িয়ে
সারা পৃথিবীকে দেখালাম
বাংলার রক্ত কত মহিয়ান
রক্ত দিয়ে মোরা মুছে দিলাম পূর্বপাকিস্তান নাম
বাংলাদেশ রেখে নিলাম মোদের মাতৃভূমির নাম
রক্ত দিয়ে মোরা মুছে দিলাম পূর্বপাকিস্তান নাম।
৬
বলেই হয়তো
বলেই হয়তো
অমানুষ হয়ে গেলাম।
সবার দেয়া ব্যথা সইয়ে
দিন আমার কেটে চলেছে
পিছন ফিরে চাইনি আমি
সম্মুখে চলেছি শুধু
একের পর এক আঘাত পেয়ে
বলেই হয়তো
অমানুষ হয়ে গেলাম।
শুধু বেঁচে আছি
বেঁচে থাকতে হয় বলে
তাই তো মানুষ
সময় মতো এই অসহায়টাকে
বড় বেশী ব্যবহার করে
বলেই হয়তো
অমানুষ হয়ে গেলাম।
দুঃখ পেতে পেতে
সুখ যে কি ভুলেই গেলাম
বলেই হয়তো
অমানুষ রয়ে গেলাম।
No comments:
Post a Comment