google-site-verification: google3e58058dabcd012d.html পয়ন্তপ

এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না


এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে নাএইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না




এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না

বিবেক সম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রয়োজনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য মোটা মোটা পুস্তক আর বড় বড় অট্টালিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্য শুধু প্রয়োজন সামনে যা পরে তা দু’চোখ ভরে দেখা আর তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তবায়িত করে নিজেকে তৈরি করা। মোটা মোটা পুস্তক পড়ে আর সর্বোচ্চ শিক্ষালয় থেকে বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করলে পুঁথিগত জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং সুট-টাই পরা সাহেবও হওয়া যায় কিন্তু মনুষত্ববোধ সম্পূর্ণ মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ নামক মানুষ হওয়ার তাগিদ মানুষের খারাপ কিংবা ভালো যাই হোক না কেন! কুশিক্ষা-সুশিক্ষা যাই হোক না কেন তা মানুষের বিবেকবোধ মানবিকবোধ থেকেই জাগ্রত হয়। আর এই জাগ্রতবোধ জাগ্রত হয় আমাদের আশে-পাশের পরিবেশ থেকে। এই পরিবেশেই থাকে অসংখ্য শিক্ষণীয় বিষয় যা মোটা মোটা কেতাবে থাকে না, বড় বড় অট্টালিকার বিদ্যাপীঠেও থাকে না। চোখের সামনে যা পরে তা অবহেলায় এড়িয়ে না গিয়ে কিছুটা দৃষ্টিপাত করলে বিবেকের বিদ্যাপীঠে গেঁথে যায় শিক্ষার মূল স্তম্ভ।

মানব জীবনের মূল স্তম্ভ নিজের সবটুকু উজাড় করে পরের জন্য কিছু করতে পারা আর এই শিক্ষাটা আমার সাধারণ ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। এই ছবিটি নটরডেম কলেজের সামনে থেকে তোলা। আমি মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে আরামবাগ মোড়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আয়াত বাসের জন্য। একটু দূর থেকেই দেখছিলাম শিশুগুলোকে। এই শিশুগুলো নেশা করে ‘ড্যান্ডি’ দিয়ে। পলিথিনে জুতার পেস্টিং বা আঠা যা গামবেল্ডিং নামে পরিচিত ‘ড্যান্ডি’ দিয়ে নেশায় অভ্যস্ত হয়ে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে পথ শিশুরা। এইসব শিশুর ড্যান্ডি বা পেস্টিং নেশা গ্রহণ অবস্থায় আমার কিছু ছবি দরকার ছিল, আমি অনেকবার চেষ্টা করেও ছবি তুলতে গিয়েও তুলতে পারেনি। হাতে ক্যামেরা দেখলে ওরা ওদের হাতের গামবেল্ডিং লাগানো পলিথিন লুকিয়ে ফেলে। তাই আমি দূর থেকেই ক্যামেরা বের করে আমার ওড়নার আঁচলের আড়ালে করে ওদের কাছে আসি। তখন ওদের কারো হাতে ড্যান্ডি বা পেস্টিং লাগানো পলিথিন ছিলনা, সবাই একসাথে ফুটপাতের উপরে গোল হয়ে বসেছিল।

আমি একেবারে কাছে এসে দেখি ছোট একটা পলিথিনে ভাত আরেকটি পলিথিনে অল্প একটু সবজির তরকারি। ওরা কি করে দেখার জন্য দাঁড়ালাম। আলাদা আরেকটা পলিথিন মাটিতে বিছিয়ে তাতে ভাত এবং তরকারি নিল এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছেলেটা। ভাত ও তরকারি একসাথে মাখালো এবং সবচেয়ে ছোট ছেলেটার মুখে আগে এক লোকমা ভাত তুলে দিল, একে একে সবগুলোকেই ও খাইয়ে দিল। অল্প একটু ভাত সবার এক লোকমা করে হলোও না। যে ছেলেটা খাওয়ালো ঐ ছেলেটা আর ভাগে পেল না।
এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না


আমি এসে দাঁড়ানোর পর এরই মধ্যে একটি ছেলে আমাকে বলল আন্টি একটা ভাত দিবেন দেখেন না আমরা কতগুলো মানুষ এইটুকু ভাত(একটা ভাত মানে একটা ভাতের পলিথিনের প্যাকেট)আমি জিজ্ঞেস করি ভাত কোথা থেকে এনেছো দেখালো রাস্তার ঐপারে ভাত বিক্রি করে, আমি আবার জিজ্ঞেস করি ভাতের এই প্যাকেট কত করে বলল ১৫ টাকা। আমি বললাম ঠিক আছে যাও একজন গিয়ে নিয়ে আসো কিন্তু যেই ছেলেটা ভাত মাখিয়ে একে একে সবাইকে খাওয়াচ্ছিল ঐ ছেলেটা কিছুতেই আমার টাকায় ভাত আনতে দিল না। ও সবাইকে বলল “এইটুকুতেই সবার হয়ে যাবে, আর লাগবে না” বলে যে ছেলেটা ভাত চাইল তাকে অভিভাবকের মতো শাসন করলো এবং বাকি সবগুলো ছেলে ওর কথার উপর কিছুই বলল না। এক লোকমা ভাতে ক্ষুধার যন্ত্রণা মিটবে না তাও কেউ প্রতিবাদ করলো না। এই বাচ্চা ছেলেগুলো এক লোকমা ভাত খেয়ে যেন তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ হলো, যেন পৃথিবীর সেরা কিছু খেয়েছে! আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম অভিভাবক ছেলেটার অপূর্ব মার্জিত শাসন। শুধু একটি কথাই বলল “এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না”।

পেটে ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও অভিভাবক-তুল্য দলের বড় ভাইয়ের আদেশ নিঃশব্দে সবাই মেনে নিল। সামান্য ‘ওহ’ পর্যন্ত কেউ করলো না অথচ ভদ্র-সভ্য পরিবেশে পরিবারে থেকেও আমরা বা আমাদের সন্তানেরা তা কখনো মেনে নেবো না বা নেয় না। আমরা সবসময় সবকিছু চাই আমাদের চাহিদার অনেক ঊর্ধ্বে। আমরা যারা সভ্য সমাজের ভদ্রজন আমাদের চাওয়া-পাওয়া লাগামহীন, আমাদের পেটও তলাবিহীন তাই প্রয়োজন মতো পাওয়ার পরও আমাদের তৃপ্তি নেই। ভিতরে আরও না পাওয়ার তাগিদে হাহাকারের যেন শেষ নেই, শেষ নেই কষ্টেরও।

আমাদের চাহিদাটাই এমন ভাত আছে তো পোলাও নেই কেন? পোলাও আছে তো বিরিয়ানি নেই কেন? বিরিয়ানি আছে তো দই নেই কেন? দই আছে তো মিষ্টি নেই কেন? মিষ্টি আছে তো ফল নেই কেন? এভাবেই একের পর এক চাহিদা লাগামহীন ভাবে বেড়ে যায়। এ মন যেন কিছুতেই তৃপ্ত হতে চায় না, চোখ সবসময় লালায়িত হতে থাকে। কারণ সভ্য সমাজের ভদ্রবেশী চোখ-মন-বিবেক …………


বিখ্যাত কবি কামিনী রায়-এর “সুখ” কবিতাটির কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি -

“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?


পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।”


কোথা থেকে নেন আর কার কাছে দেন

কোথা থেকে নেন আর কার কাছে দেন





কোথা থেকে নেন আর কার কাছে দেন

প্রাণী এবং উদ্ভিদ একে অপরের পরিপূরক এক কথায় মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কেননা উদ্ভিদ যা ত্যাগ করে প্রাণী তা গ্রহণ করে আবার প্রাণী যা ত্যাগ করে উদ্ভিদ তা গ্রহণ করে। প্রাণীর মধ্যে উদ্ভিদ থেকে সবচেয়ে বেশি যে উপকৃত হয় সে হলো মানব প্রাণী। মানুষকে উদ্ভিদের যতটা না প্রয়োজন তার থেকে শতগুণ বেশি প্রয়োজন হলো উদ্ভিদকে মানুষের। উদ্ভিদ মানুষের কাছ থেকে শুধু কার্বন ডাই অক্সাইডই গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মানুষকে প্রদান করে অক্সিজেন, দেয় খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের উপকরণ, জ্বালানি, আসবাবপত্র এবং

আজ সূর্য উদিত হোক- সেই বিজয় নিয়ে

আজ সূর্য উদিত হোক- সেই বিজয় নিয়ে





আজ সূর্য উদিত হোক- সেই বিজয় নিয়ে

পৃথিবীর সৃষ্টির পর থেকেই দিনের পর রাত, রাতের পর দিন এই নিয়ম চলছে, চলবে। নদীর স্রোতের মত বয়ে যাওয়া দিনগুলো থেকে ৭টি দিনকে নির্ধারণ করা হলো, আবার এই ৭দিনকে একত্রে নামকরণ করা হলো সপ্তাহ। এমনিভাবে হলো পক্ষ, মাস, বছর, যুগ, শতাব্দী।ঘুরে ফিরে যেমনি আসছে দিন, সপ্তাহ, পক্ষ, মাস, বছর, যুগ শতাব্দী তেমনি আসছে একেকটা দিনের, একেকটা মাসের, বছরের, যুগের শতাব্দীর ইতিহাস। ইতিহাস তো ঘটে যাওয়া ঘটনা মাত্র। হতে পারে সুখ কিংবা দুঃখ, হাসি কিংবা কান্না।এতে লুকিয়ে থাকে আনন্দ,

আমরাই আমাদের পরিবেশ বিষাক্ত করছি

আমরাই আমাদের পরিবেশ বিষাক্ত করছি




আমরাই আমাদের পরিবেশ বিষাক্ত করছি

পশু-পাখী-কীট-পতঙ্গ ও মানুষ সব মিলিয়েই প্রাণী জগৎ। পৃথিবীতে পরিবেশের উপর নির্ভর করে প্রাণী জগতের অস্তিত্ব টিকে আছে এবং টিকে থাকতে হবে পরিবেশের উপর নির্ভর করেই। আজ এই নির্ভরতা নির্ভর করছে মানবের মানবতার উপর, আজকের পরিবেশ কালকে কতটা স্বাস্থ্যকর থাকবে এবং উত্তরাধিকারীর জন্য কতটা বাসযোগ্য রেখে যাবে তা বর্তমানের

চলে গেলেন বাবুল ভাই মায়াময় পৃথিবী ছেড়ে

চলে গেলেন বাবুল ভাই মায়াময় পৃথিবী ছেড়ে

চলে গেলেন বাবুল ভাই মায়াময় পৃথিবী ছেড়ে

গত ১৬-১১-২০১৯ শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টায় বাবুল ভাই চলে গেলেন মায়াময় এই পৃথিবী ছেড়ে। তিনি ফুসফুস ও লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বাবুল ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা মানুষ এবং সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। পুরো নাম 'বাবুল মোশাররফ'। বাবুল মোশাররফ

সন্তানদের বই পড়তে উৎসাহিত করি

সন্তানদের বই পড়তে উৎসাহিত  করিসন্তানদের বই পড়তে উৎসাহিত  করি




সন্তানদের বই পড়তে উৎসাহিত করি

নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে অন্যের লেখা কেন বই কিনবো! আবেগ জড়ানো এই প্রশ্নের উত্তর যেমনি বিস্তৃত তেমনি সুদৃঢ়। মানব সভ্যতা বিকাশের এক শ্বাসত ও চীর কল্যাণময়ের একমাত্র উপাদান হচ্ছে বই। বইয়ের প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে, একটি ভাল বই একজন মূর্খ অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্বরকেও রূপান্তরিত করতে পারে মানবিক গুণসম্পন্ন আদর্শ মানুষে।


“রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত-যৌবনা -

এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না

এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না বিবেক সম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রয়োজনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য মোটা মোটা পুস্তক আর বড় বড় অট্টালিক...