google-site-verification: google3e58058dabcd012d.html পয়ন্তপ : ইউটিউবের নীতিমালায় ভাল পিছিয়ে পরল খারাপ এগিয়ে গেল

ইউটিউবের নীতিমালায় ভাল পিছিয়ে পরল খারাপ এগিয়ে গেল







ইউটিউবের নীতিমালায় ভাল পিছিয়ে পরল খারাপ এগিয়ে গেল 

ইউটিউবের ভিডিওর নীতিমালা্য় ভাল-মন্দ
সারা বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয় আর তা এনে দিয়েছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তি মানুষকে সবকিছু সহজ করে দিয়েছে, তাই একশ্রেণীর মানুষ এই প্রযুক্তিকে সঠিক পথে ব্যবহার না করে বেঠিক পথে ব্যবহার করছে। বেঠিক পথ ব্যবহারের একটি বড় মাধ্যম হল ইউটিউব। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম ২০০৭ সালে চালু হয় এবং তখন থেকেই অনেক ভিডিও নির্মাতা বিজ্ঞাপনের বদৌলতে নিজেদের ভিডিও ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। এর মধ্যে অনেকেই মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে সমর্থ হয়, ইউটিউবে চ্যানেল খুলে। ইউটিউবের মাধ্যমে অনেকেই চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ভিডিও দিয়ে অর্থ উপার্জন করার জন্য জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে ইউটিউব
ইউটিউবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অর্থলোভী অনেক মানুষ নামে-বেনামে ভিডিও তৈরি করে বা অন্যের ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি এসব প্রচরণা বা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে। নতুন নীতিমালায় অর্থ আয় করতে হলে নিজের চ্যানেলে কমপক্ষে ১০,০০০ ভিউ পেতে হবে। নতুন নীতিমালা করায় তখন কিছু ভিডিও সাসপেন্ড করা হলেও এখন কেন জানি তা শিথিল অবস্থা বজায় রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুগ সাথে তাল মিলিয়ে চলার পথে অনেক যোগ-বিয়োগ করাটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, হয়ত সেটাই করছে ইউটিউব



ইউটিউবে ভিডিও ইউটিউবে সুনামের ক্ষতি করছে


সুনাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে। ইউটিউবে ভিডিও মাধ্যমে যারা সুনাম নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। ইউটিউবে কিছু ভিডিও খুবই বাজে ফুটেজের দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও ইউটিউবে সুনামের ক্ষতি করছে। ইউটিউবের ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করা যায়, একসময় খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করার সুযোগ থাকলেও এখন যথেষ্ট কঠোর হয়ে গেছে গুগল কর্তৃপক্ষ কেননা গুগলের ভিডিও সেবা পাচ্ছে ইউটিউব এতো নতুন নিয়মের বেড়াজালে ভিডিও নির্মাণ করা অনেকের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন, যাদের জন্য নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হল তারা কিন্তু তাদের লক্ষ্য থেকে একটুও বিচ্যুত হয়নি বরং আরও উৎসাহিত হয়েছে। কারণ অশ্লীল ভিডিওগুলোই দূত ভিউ এর কোটা পূরণ করে ফেলছে এতে বিশেষ করে শিক্ষামূলক ভিডিও নির্মানের ক্ষেত্রে নতুন নির্মাণতারা বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকেই মনে করে এরকম নতুন হাল্কা-পাতলা নীতিমালা নির্ধারন করার কারণে অশ্লীলতাই আরো বেশি করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এক ভিডিওর নামে অন্য ভিডিও দিয়ে দর্শকদের বোকা বানানোর প্রবণতা ছিল। অনেক সময় দেখা যায় ভিডিও ভিতরে থাকে বিরক্তিকর বিষয় কিন্তু থাম্বনেইল থাকে আকর্ষণীয়; এসব ভিডিও দেখে শুধু যে দর্শকই অস্বস্তিবোধ করে তা না বিজ্ঞাপনদাতাগণও বিরক্ত হয় শুধু ভিউ বাড়ানোর জন্য অনেক চ্যানেলেই এসব আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলো মনে করে ইউটিউবের আপত্তিকর ভিডিওগুলোতে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানো হলে মানুষ ভিডিওর সাথে বিজ্ঞাপন ব্র্যান্ডের তুলনা করবে। এজন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপত্তিকর ভিডিওর জন্য গুগলের ইউটিউবে বিজ্ঞাপন বয়কটের ঘোষণা দিলে গুগল অস্বস্তিতে পরে গুগল এখনো বিজ্ঞাপন নীতিমালার ক্ষেত্রে বেশ কঠোর তাই ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে অর্থ আয় করতে হলে মূল ভিডিওই ব্যবহার করে দর্শক টানতে হবে, তা নাহলে চ্যানেলকে গুগল জন্য অর্থ দেবে না ইউটিউব চ্যানেলগুলোর জন্য গুগল কর্তৃপক্ষ বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালু করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে যেই ভিডিওগুলোতে ১০,০০০ এর কম ভিউ ছিল সেই ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে, গুগল কর্তৃপক্ষ আপত্তিকর কিছু বিষয় দিয়ে ভিডিও ধারণ করে প্রদর্শন করে অর্থ আয়ের সুবিধা বন্ধ করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তে ফলে ভাল পিছিয়ে পরল খারাপ এগিয়ে গেল।

অশ্লীল ও অস্বস্তিকর ভিডিওর সংখ্যা বেড়েই চলেছে 

এত কিছুর পরও ইউটিউবে অশ্লীল ও অস্বস্তিকর ভিডিওর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশের ইউটিউবের অধিকাংশ ভিডিওই নিয়ন্ত্রণহীন এবং নিয়ন্ত্রণহীন ভিডিওর জন্য কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালাও নেইযার ফলে ইচ্ছে মতো নিম্নমানের ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দিচ্ছে ইউটিউবে কোন প্রয়োজনে ইউটিউবে ঢুকলে প্রথমই আসে অশ্লীল ভিডিও যা কল্পজগতকেও হার মানয়। পাশে সন্তান থাকলে নিজেকে এত বেশি অসহায় লাগে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বের এ কি অসভ্যতা। যেখানে নাটক হচ্ছে সামাজিক শিক্ষার প্রধান বাহন সেখানে নাটকের নামে করছে নোংরামি দেখাচ্ছে ইউটিউবে সাপোট দিচ্ছে গুগল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। যে চ্যানেল সন্তান কিংবা পরিবার নিয়ে দেখা যায় না, মজার ব্যাপার হলো এই চ্যানেলে রিমুব টিপে আনতে হয়না, সামনে এসে হাজির হয় পাহারাদারের মত আবার শর্টফিল্মের নামে চলছে অশ্লীল সিরিজ বানিজ্য আর এসবই দেখা যায় ইউটিউবে ইউটিউবে নিয়ম-নীতি নিয়ে এত হৈ হুল্ল হয়ে গেল কাজের কাজ তো কিছুই হল না; ‘যেই লউ সেই কঁদু’ই রয়ে গেলইউটিউবে অশ্লীল ভিডিও নির্মাণ দিনে দিনে সংখ্যায় যেমন বাড়ছে তেমনি এসব ভিডিওর ভিউও সুস্থ ভিডিও ভিউ এর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে অশ্লীল ভিডিওর ভিউ কোটা দূত পুরণ হয়ে বলে নিয়মঅনুসারে বিজ্ঞাপণ পেয়ে থাকে। বেশি ভিউয়ার্সের পেয়ে আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য এসব ভিডিও ধারণ করে থাকেইউটিউবে একটি অশ্লীল ভিডিও ছাড়ার কিছু দিনের মধ্যেই দেখা গেছে এই ভিডিওগুলোতে লাখ লাখ ভিউ পেয়ে যায় 


মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ইউটিউব বরাবরই ব্যর্থ 

নাটক সিনেমা ইত্যাদি নানা ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে মানুষ কর্মক্লান্তি দূর করার জন্য বিভিন্ন চ্যানেলে ভিডিওর দেখে। ইউটিউব চ্যানেল ইচ্ছে মত দেখা যায় বলে বর্তমান সময়ের মানুষ অনেক বেশি ইউটিউবমুখী হয়েছে পড়েছে। ইউটিউবের চ্যানেলের প্রতি মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণে ইউটিউব বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। ইউটিউবের ভিডিও যত বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে গুগল তত বেশি লাভবান হচ্ছে। এখন গুগল কাছে ভিডিও সেবা ইউটিউব অর্থের খনি কারণ এ ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করার ফলে ভবিষ্যতেও গুগলের জন্য বড়অঙ্কের মুনাফা বয়ে আনবে বলে মনে করছে গুগলের কতৃপক্ষ। কেননা, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে বিজ্ঞাপনদাতা এবং ভিডিও নির্মাতা উভয় পক্ষের স্বার্থই বজায় থাকবে।
আরো জানতে ক্লিক করুন

 সামাজিক অবক্ষয়ের স্বীকার হচ্ছে নতুন প্রজন্ম

ভিডিওর বিষয়বস্তুর না আছে বিষয় না আছে বস্তু আছে শুধু নগ্নতাযা মানুষকে চুম্বকের মত টানে চোখ ফিরাতে পারে না তাই বাধ্য হয়ে অনেকে একবার হলেও দেখে ফেসবুকে নগ্নতা নিষিদ্ধ হতে পারে কিন্তু ইউটিউবে নগ্নতা ততটাই প্রদর্শনযোগ্য যতটা তুমি দেখাতে পার এখানে বাধা দেয়ার কোন সেন্সরবোর্ড নেই। বিশেষ করে বাংলাভাষায় ধারণ করা অশ্লীল ভিডিওর প্রচারণা অনেক বেশি।  মানুষ বিনোদন পাওয়া জন্য ইউটিউবে ঢুকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পরে বিনোদনের বদলে বিরক্ত হয় অথচ টিভি চ্যানেলে নাটক প্রচার করতে হলে অনেক নিয়মনীতি মেনে নাটক নির্মাণ করতে হয়; যাতে নাটক থেকে মানুষ কিছু শিখতে পারে এবং পরিবারের সবাই বাবা-মা-সন্তান একসাথে বসে দেখতে পারে, উপভোগ করতে পারে। টিভি চ্যানেলে মানুষ ইচ্ছে মত দেখতে পারে না বলেই ইউটিউবের এত চাহিদা আর এই সুযোগ কাজে লাগাছে রুচিহীন একশ্রেণীর মানুষ। ইউটিউবে ভিডিও বাজার উন্মুক্ত হওয়া বিজ্ঞানের অপব্যবহারের করে সামাজিক অবক্ষয়ের স্বীকার হচ্ছে নতুন প্রজন্ম যার যা মনে আসে ইচ্ছে মত তাই প্রকাশ করে ইউটিউবে ছেড়ে দিচ্ছে, তারা সংস্কৃতির অপব্যবহার করছে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের জন্য। ইউটিউবে এমন অস্বস্তিকর অশ্লীল ভিডিও দেখে এত অভক্তি লাগে মাঝে মাঝে মনে হয় ভিডিও দেখা ছেড়ে দেই। আমার মনে হয়, এধরণের ভিডিওর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আবারও গুরুত্বসহকারে ভাবা উচিত; ভাবা উচিত বিশ্বে সকল রাষ্ট্র প্রধানদের। বিশ্বে প্রতিটা রাষ্ট্রের সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে অস্বস্তিকর অশ্লীল ভিডিও নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউটিউবকে কিছু নীতিমালা বেঁধে দেয়া উচিত। তাতেও হয়ত একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না অন্ততঃ কিছুট ঝিমিয়ে পড়তে পারে। কেননা, বর্তমানে নগ্ন ভিডিও তৈরির প্রবনতা যেভাবে বেড়ে চলছে তাতে বিশ্বের নতুন প্রজন্মের জন্য হুমকি সম্মুখীন হচ্ছে।   




No comments:

এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না

এইটুকুতেই আমাদের হয়ে যাবে, আর লাগবে না বিবেক সম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রয়োজনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য মোটা মোটা পুস্তক আর বড় বড় অট্টালিক...