![]() |
ছো/দেন/ঠিক আছে
এক সময়ের মূদ্রাদোষ আধুনিক যুগের ফ্যাশানে দাঁড়িয়েছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখতে গেলে এত বিরক্ত লাগে ইচ্ছে করেনা ভিডিও দেখতে। সাবক্রাইব করতে ইচ্ছে করেনা। বিরক্ত হয়ে মাঝে মাঝে পরির্বতন করে একই বিষয়ের অন্য ভিডিওতে যাই, গেলে হবে কি আবস্থা একই। বর্তমানের কথা ফ্যাশান কানে এত বেশি লাগে একেবারে শব্দদূষণে পরিণত। জানার জন্য শিখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখি, কি বুঝবো আর শিখবোই বা কি ‘ছো/দেন/ঠিকআছে’ ইত্যাদি শব্দ বার বার মূলশব্দের ফাঁকে ফাঁকে এত বেশি বলা হয় শিখার আগ্রহটা মরে যায়।
বর্তমানে ‘ছো/দেন/ঠিক আছে’ ইত্যাদি কথা ফ্যাশান সবজায়গায় সবখানে। যারা কথায় কথায় ‘ছো/দেন/ঠিক আছে’ ইত্যাদি বলতে থাকে তাদের কি অন্যের মূদ্রাদোষ শুনতে খারাপ লাগেনা। বুঝানোর মানের চেয়ে ‘ছো/দেন/ঠিক আছে’ এর মান অনেক বেশি উন্নত অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ একটা ভিডিওতে হিসেব করলে দেখা যাবে মূল কথার তিনগুণ বেশি বলা হয় ‘ছো/দেন/ঠিক আছে’ ইত্যাদি। যারা শিক্ষা দিয়ে থাকেন যাদের মাধ্যমে মানুষ শিখার চেষ্টা করে তারাই যদি কথায় কথায় ‘ছো/দেন/ঠিক আছে’ ইত্যাদি শব্দদ্বারা ফ্যাশান করে তাতে শিক্ষার্থীদের শিখার আগ্রহ ফ্যাকাশে হয়ে যায় বিশেষ করে যাদের পরিণত বয়স হয়েছে।
আরো জানতে ক্লিক করুন
ইমেজের বাচ্চা মেয়ের নাম সামিয়া। সামিয়া এখন বড় হয়েছে। ছবিটা তুলার সময় সামিয়ার বয়স দুই বছর। হঠাৎ আমরা খেয়াল করি ওকে কেউ কিছু বললে বলে ‘ঠিক আছে’। কথায় কথায় একই কথা বলে ‘ঠিক আছে’। এভাবে বেশ কিছু দিন গেল ‘ঠিক আছে’ আর পরিবর্তন হয়না। ‘ঠিক আছে’ পরিবর্তন করার জন্য আমরা ওর সাথে ‘ঠিক আছে’ বলা শুরু করি। মাশায়াল্লা সামিয়া ছোট থেকে খুব বুদ্ধিমান ছিল তাই ছোট্ট সামিয়া বুঝতে পারে আমরা ওকে ভেঙ্গাচ্ছি। দেখা গেল কয়েক দিনের মধ্যে ওর মূদ্রাদোষ সেরে গেল। বাচ্চা মানুষ টিভিতে বা অন্য কোথাও শুনে রপ্ত করে নেয়।
আমরা যারা ইউটিউবে ভিডিও দেখি তারা এই ফ্যাশান বা মূদ্রাদোষ যাই বলি না কেন সংশোধন করতে পারবো না। পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব থেকে এই ফ্যাশান দূর করার চেষ্টা করা উচিত। যদি তাদের কাছে খারাপ লাগে তবে। অবশ্য অনেক পরিবার মনে করে তাদের সন্তান কিংবা ভাই/বোন লেখাপড়া শিখে আধুনিক হইয়েছে ভিডিও দিচ্ছে ইউটিউবে তাই আধুনিকতার হাত ধরে আরো আধুনিক হতে পরিবারের অন্যরাও একই ফ্যাশানে অভ্যস্ত হয়ে পরতে পারে। বর্তমানে জাগায় জাগায় সবজাগায় চলছে ফ্যাশান। শুধু ইউটিউবের ভিডিওতেই না কথার ফ্যাশান শোনা যায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। হতে পারে আজকালকার দিনের আধুনিক ছেলেমেয়েদের ফ্যাশান। যা-ই হোকনাকেন ইউটিউবের ভিডিও শ্রোতাদের কানে শব্দদূষণে পরিণত হয়। পরিণত বয়সে কথার মূদ্রাদোষের বদভ্যাসের কারণে বিব্রত হন অনেকে।
No comments:
Post a Comment